করোনা সন্দেহে মৃতদেহ সৎকারে এলেন না গ্ৰামবাসী , পঞ্চায়েত সদস‍্য এগিয়ে এসে উদ‍্যোগ নিলেন সৎকারে

18th June 2021 11:07 am বর্ধমান
করোনা সন্দেহে মৃতদেহ সৎকারে এলেন না গ্ৰামবাসী , পঞ্চায়েত সদস‍্য এগিয়ে এসে উদ‍্যোগ নিলেন সৎকারে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( জামালপুর ) : করোনা সন্দেহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত বৃদ্ধের মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে এলেন না এলাকাবাসী । অবশেষে কয়েক ঘন্টা পরে পরিবারের কাছ থেকে খবর পেয়ে উদ‍্যোগ গ্ৰহণ করলেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস‍্য । তিনিই অভয় দিয়ে জোগাড় করলেন কয়েকজন যুবককে । তাদের উদ‍্যোগ নিয়েই মৃতদেহটি সৎকার করা হল।  পঞ্চায়েত সদস‍্য এগিয়ে আসতেই এলেন স্থানীয় রা । ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জামুদহ গ্ৰামে । বেরুগ্ৰাম পঞ্চায়েতের সদস‍্য সেখ সাহাবুদ্দিন ( দানি ) এর উদ‍্যোগে স্বস্তি পরিবারের ।

জানা গেছে , জামালপুরের জামুদহ গ্ৰামের বাসিন্দা আনন্দমোহন চক্রবর্তী ( ৯০ ) হৃদরোগে আক্রান্ত হন । গতকালকেই শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করায় পরিবার সদস‍্যরা তড়িঘড়ি তাকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসার উদ‍্যোগ নেন । কিন্তু বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এসেই তাঁর মৃত‍্যু হয় । এরপর বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরেই তৈরী হয় সমস‍্যা । কয়েকদিন পূর্বে এই গ্ৰামে দুই ব‍্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান । সেই আতঙ্ক এখনো রয়েছে গ্ৰামবাসীদের মনে । বৃদ্ধ আনন্দমোহন বাবুর করোনা হতে পারে সন্দেহে কেউ সৎকারে এলেন না এগিয়ে।  হতাশ হয়ে পড়েন তার পুত্র উজ্জ্বল চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী । শ্মশানে মৃতদেহ স‍ৎকারের জন‍্য কাউকে পাওয়া যায় নি । অবশেষে তিনি যোগাযোগ করেন পঞ্চায়েত সদস‍্য সেখ সাহাবুদ্দিন এর সাথে । তিনিই উদ‍্যোগী হয়ে কয়েকজন যুবককে জড়ো করে কোভিড বিধি মাথায় রেখে দাহ কাজ সম্পন্ন করালেন । করোনা না হবার পরেও অহেতুক মানুষ যেভাবে আচরণ করছেন তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস‍্য । বিপদের দিনে পঞ্চায়েত সদস‍্যের এই মানবিকতায় খুশি পরিবারের সকলে ।

 

ছবি : মহঃ খান





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।